যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বন্দুক হামলা, তিন কৃষ্ণাঙ্গ নিহত

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসনভিলে বন্দুক হামলার স্থলে কাজ করছে পুলিশ। ছবি : এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসনভিলে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজন বন্দুকধারীর গুলিতে তিন কৃষ্ণাঙ্গকে নিহত হয়েছেন। পরে হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন। যদিও বন্দুকধারীর নাম এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি পুলিশ। শহরের শেরিফ বলেছেন, জাতিগত বিদ্বেষ থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর বিবিসির।

পুলিশ জানায়, হামলাকারী ব্যক্তি ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। তার বয়স প্রায় ২০ বছর। তিনি একটি জেনারেল স্টোরে ঢুকে গুলি চালায়। এরপর পুলিশের সঙ্গে তার সংঘর্ষ শুরু হয়।

শেরিফ টি কে ওয়াটার্স বলেন, ‘বন্দুকধারীর হাতে নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি হালকা আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং একটি হ্যান্ডগান নিয়ে এ হামলা চালান ওই তরুণ।’

মেয়র ডোনা ডিগান বলেন, ‘এটি বর্ণবাদী বিদ্বেষ প্রণোদিত ঘৃণ্য অপরাধ।’

শেরিফ ওয়াটার্স বলেন, ‘ওই তরুণ একা হামলা করেছেন। হামলাকারী তার বাবা-মায়ের সঙ্গে জ্যাকসনভিলের ক্লে কাউন্টিতে থাকতেন এবং তার উদ্দেশ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বার্তা রেখে গেছেন। একটি বন্দুকে স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকা ছিল।’

এফবিআই বন্দুক হামলার তদন্ত শুরু করেছে, যা জাতিগত বিদ্বেষজনিত অপরাধ হিসেবে আচরণ করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বন্দুকধারীকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে অভিহিত করেছেন এবং গুলির ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

ডিস্যান্টিস বলেন, ‘তিনি (বন্দুকধারী) বর্ণের ভিত্তিতে লোকদের টার্গেট করেছিলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’

গভর্নর আরও বলেন, ‘লোকটি শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে নিজেকে হত্যা করেছে এবং তার কর্মের দায় স্বীকার করেছে, তাই সে কাপুরুষের পথ বেছে নিয়েছে।’

হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গুলি চালানোর বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।\

বন্দুক সহিংসতার আর্কাইভের ওয়েবসাইট অনুসারে, এই বছর এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২৮ হাজারের বেশি মানুষ গুলিতে নিহত হয়েছে।