ইকুয়েডরে কারাবন্দিদের হাতে জিম্মি নিরাপত্তা বাহিনীর ৫৭ সদস্য

Looks like you've blocked notifications!
ইকুয়েডরের মানচিত্রের ছবিটি এএফপি থেকে নেওয়া

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ছয় কারাগারে থাকা বন্দিদের হাতে জিম্মি হয়েছে কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাক ৫৭ গার্ড ও পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

রাজধানী কোয়েতোতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কুয়েনকা শহরের একটি কারাগারেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওই ৫৭ সদস্যকে জিম্মি করা হয়েছিল।’ তবে, পরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মন্তব্য করে কারা কর্তৃপক্ষ এসএনএআই। তারা বলে, দেশের ছয়টি কারাগারে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জিম্মি করেছে বন্দিরা। তবে, কোন কোন কারাগারে এমনটি হয়েছে সে বিষয়ে কোনা তথ্য দেয়নি তারা।

প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, গত বুধবার দক্ষিণে আন্দিয়ান প্রদেশের লাতাকুঙ্গা শহরের একটি কারাগারে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য। দেশটির অন্যতম এই কারাগারে অস্ত্র বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনো কিছু রয়েছে কি-না তার জন্যই এই অভিযান চালানো হয়। এর ঠিক একদিন পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কারাগারে জিম্মি করার ঘটনা ঘটল।

জিম্মির বিষয়টি নিয়ে আগে এসএনএআই জানিয়েছিল, অভিযানের কারণেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জিম্মি করা হয়। তবে, অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, বন্দিদের এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরের প্রতিবাদে জিম্মির মতো ঘটনা ঘটে।

ইকুয়েডরের কারাগারগুলোতে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। প্রায়শ কারাগারগুলোতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলে গ্যাং যুদ্ধ। ২০২১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির কারাগারগুলোতে সংঘর্ষে ৪৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মূলে রয়েছে কলোম্বিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত গ্যাংগুলো ও মেক্সিকান কার্টেল।

এএফপি জানিয়েছে, কয়েক বছর আগ পর্যন্ত দক্ষিণ আমেরিকার শান্তিপূর্ণ দেশ ছিল কলম্বিয়া ও পেরুর মধ্যে থাকা ইকুয়েডর। তবে, সম্প্রতি দেশটিতে সহিংসতা বেড়েছে। এর মূলে রয়েছে মাদক পাচার। শান্তির দেশটি এখন মাদকপাচারের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।