ফরাসি সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে নাইজারে জনতার সমাবেশ

Looks like you've blocked notifications!
নাইজারে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কাউন্সিলের সমর্থনে রাজধানী নিয়ামের বাইরে একটি ফরাসি বিমান ঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ করছে জনতা। ছবি : এএফপি    

নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে হাজারো জনতা দেশটি থেকে সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্সের সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ করেছে। গত জুন মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সামরিক জান্তার দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ।

নাইজারে ফরাসি সামরিক উপস্থিতির বিরোধীতাকারী বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয় পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে থাকা ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির বাইরে। এ সময় জনতা ‘ফ্রান্সের সেনাবাহিনী আমাদের দেশ ছেড়ে যাও’ লেখা ব্যানারও বহন করে। খবর এএফপির।

গতকাল শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) নাইজারের ক্ষমতাসীন সামরিক শাসকের পক্ষ থেকে বলা হয় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজোমকে সমর্থন দিয়ে ফ্রান্স দেশটির অভ্যন্তরে ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’ করছে। এ দিনও রাজধানী নিয়ামের বাইরেও ফরাসি ঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ করে সাধারণ জনগণ।

নাইজারে ২০২১ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা মোহামেদ বাজোম ছিলেন ফ্রান্সের অনুসারী। ওই নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল যে দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। তবে তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতেই ২৬ জুলাই বন্দি হন। আর  এই ঘটনার পরপর প্যারিস বাজোমের পক্ষ নিলে ‘জিহাদপন্থী’ বিরোধী লড়াইয়ে নাইজারের অন্যতম সহযোগী ফ্যান্সের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

গত ৩ আগস্ট নাইজারের সামরিক জান্তা ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে। দেশটিতে দেড় হাজারেরও বেশি ফরাসি সৈন্য এই অঞ্চলে জিহাদপন্থী বিরোধী লড়াইয়ে সাহায্য করে আসছে। তবে প্যারিস সামরিক চুক্তি বাতিলের বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে নাইজারের সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

এদিকে, নাইজারের সামরিক সরকার ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইতেকে বহিষ্কার করে এই অজুহাতে যে তার উপস্থিতি জনসাধারণের জন্য হুমকি।

তবে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো নাইজারে সিলভাইন ইতের কাজের প্রশংসা করেছেন যদিও ওই দূতকে গত শুক্রবার দেশত্যাগের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়।