কানাডার অভিযোগ ‘গুরুতর’, ভারতকে সহযোগিতা করতে বলল যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি। এএফপির ফাইল ছবি

বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে ‘খুবই গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক ও মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্তে অটোয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন এবং এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে নয়াদিল্লিকে উৎসাহিত করে ওয়াশিংটন। খবর এনডিটিভির। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জন কিরবি বলেন, ‘আমি এটি কূটনৈতিক আলাপাচারিতার ওপর ছেড়ে দেব। অবশ্যই প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) এই গুরুতর অভিযোগগুলো সম্পর্কে সচেতন এবং সেগুলো অত্যন্ত গুরুতর। আমরা বিষয়টি তদন্তের জন্য কানাডার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।’

জন কিরবি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ বিস্তৃত তদন্তই সঠিক পদ্ধতি, যাতে আমরা সবাই জানতে পারি ঠিক কী ঘটেছে। অবশ্যই, আমরা ভারতকে এতে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করি।’

ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের (কেটিএফ) প্রধান হরদ্বীপ সিং নিজ্জার (৪৫) হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টদের সম্পৃক্ততা নিয়ে ট্রুডোর অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এই মুখপাত্র।

নিজ্জারকে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকাভুক্ত করে তার মাথার জন্য নগদ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ভারত। ১৮ জুন কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারি শহরের একটি গুরুদুয়ারার বাইরে দুই অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি।

ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে কী তথ্য দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমি এ বিষয়ে কথা বলেতে সতর্ক। তথ্য সম্পর্কে কথা বলার বিষয়টি কানাডার কাছেই ছেড়ে দিন, তারা আরও কী জানার চেষ্টা করছেন। আমরা সেই প্রক্রিয়াটিকে সম্মান জানাই এবং এটি তাদের তদন্তাধীন।’

কানাডার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে জানতে চাইলে জন কিরবি বলেন, ‘আসুন আমরা যেখানে আছি, তার থেকে সামনে না যাই। একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মনে করি, এটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, বিস্তৃত হওয়া দরকার। আমরা জানি, কানাডার কর্মকর্তারা সেই লক্ষ্যে কাজ করবেন।’

জন কিরবি আরও বলেন, ‘আবারও আমরা ভারতকে সেই তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি, যাতে তদন্তকারীরা তথ্যগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। তারপরে আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এরপর আপনি সুপারিশ বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।’

এদিকে সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরবি বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো গুরুতর এবং আমরা জানি, কানাডা এটি তদন্ত করছে। আমরা অবশ্যই সেই তদন্ত থেকে আগে বাড়তে চাই না।’

কিরবি বলেন, ‘আমরা ভারতকেও সেই তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই। এটি এখানে এমন একটি হামলা, যা আমরা একটি স্বচ্ছ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে সবাই জানতে চাই। কানাডার জনগণ এর উত্তর পেতেই পারেন। তাই আমরা আমাদের অংশীদার উভয় দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখব। আবারও আমরা দেখতে চাই, তদন্ত যেন বাধাহীনভাবে এগিয়ে যেতে পারে এবং তথ্যগুলোকে যে পর্যন্ত নিয়ে যায়, সেখানে যেন পৌঁছানো যায়।’