ইন্দোনেশিয়ায় মেয়রের কার্যালয়ে আগুন দিলেন বিক্ষোভকারীরা

Looks like you've blocked notifications!

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সেখানকার মেয়রের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপগুলোতে খননের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো। সেখানে শ্রমিকদের কাজের পরিস্থিতিও অনেক খারাপ। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণ নিয়েও স্থানীয়দের সঙ্গে খনি কোম্পানিগুলোর বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, খনিজ সমৃদ্ধ সুলাওয়েসি দ্বীপের গোরোনতালো প্রদেশের পৌয়াতো রিজেন্সিতে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ করেন বাসিন্দারা। প্রায় আড়াই হাজার বিক্ষোভকারী স্থানীয় মেয়রের কার্যালয়ে বিক্ষোভ নিয়ে যান। এ সময় সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলাপ করতে রাজি হননি।

ওই দ্বীপে সোনার জন্য খনন কার্যক্রম চালাচ্ছে পিটি পুনাক এমাস তানি সেজাতহেরা কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানটি পিটি মের্দেকা কপার গোল্ডের একটি সহযোগী কোম্পানি। সোনার খনি খননের জন্য স্থানীয়দের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণের জন্য এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা।

গোরোনতালো পুলিশের মুখপাত্র ডেসমন্ট হারজেন্দ্রো বলেন, ‘পৌয়াতো রিজেন্সিতে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা তদন্ত করা হচ্ছে।’ 

পুলিশের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘মেয়রের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় পার্লামেন্টের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানেও তারা ধ্বংসজজ্ঞ চালিয়েছে। এতে পার্লামেন্ট ভবনের কিছু ক্ষতি হয়েছে।’

বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া  হয়েছে জানিয়ে হারজেন্দ্রো বলেন, ‘সরকারি ভবনগুলো আমরা পাহারা দিচ্ছি। পুলিশি হেফাজতে থাকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

বিষয়টি নিয়ে মের্দেকা কপার গোল্ডের পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সহিংসতার যে ঘটনা ঘটেছে, এতে আমরা মর্মাহত। দায়িত্বজ্ঞানহীন বিক্ষোভকারীদের সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই আমরা।’ 

সরকারি অনুমোদন নিয়েই খনির খনন কাজ চলছে বলেও জানানমের্দেকা কপার গোল্ডের পরিচালক।