ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তার প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন। ছবি : স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট 

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি নিজের ও দূতাবাসে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।’ 

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন মিলার।

বিফ্রিংয়ে একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে ম্যাথিউ মিলারের উদ্দেশে বলেন, ‘একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটার হাস তার নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেবল তাই নয়, তিনি বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই উদ্বেগকে কীভাবে দেখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী? কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা দেখেছি।’

এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি (বাংলাদেশে) মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরতদের নিরাপত্তার বিষয়ে নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। তবে আমি বলব, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

ভিয়েনা কনভেনশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি স্বাগতিক দেশকে অবশ্যই সব কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখতে হবে। কর্মীদের ওপর যেকোনো হামলা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমরা আশা করি, সরকার আমাদেরসহ ওই দেশের সব বিদেশি মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।’

‘যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আরও ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে, যার মধ্যে সরকারের ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমও থাকবে, যারা দেশটির সরকারকে দানব হতে সাহায্য করছে?’ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এমন প্রশ্ন প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র। তিনি উল্টো জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমরা কবে ফের নিষেধাজ্ঞা দেব, প্রশ্নটি কি সে বিষয়ে?’

এ প্রশ্নের জবাবে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘হ্যাঁ। ঢাকায় নিযুক্ত দূতাবাস বলেছে, আরেক দফা ভিসা নীতি দেওয়া হবে, যেখানে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো গণমাধ্যমকর্মীরা থাকতে পারেন।’

এ প্রসঙ্গে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি নতুন করে নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে বলতে যাচ্ছি না। আগে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বলতে পারি, আমরা দেশটির (বাংলাদেশ) কিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল ও রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, তারাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত। আমরা ২৪ মে এই নীতিটি ঘোষণা করার সময় স্পষ্ট করেছিলাম, নির্দিষ্ট কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়। যখন আমরা ভিসা নীতিতে ঘোষণা করি, এটি যেকোনো বাংলাদেশির ওপর প্রয়োগ করা যেতে পারে, যাকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য দায়ী বা জড়িত মনে করব। আমরা ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপায়টি হাতে রেখেছি, যদি প্রয়োজন হয় এবং যখন আমরা এটিকে উপযুক্ত মনে করব, সেসময়ের জন্য।’