মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় অবস্থিত খান ইউনিস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক শিশুর মরদেহের সামনে বসে কান্না করছে তার বাবা ইউসিফ আজিজ। ছবি : এএফপি 

মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য দুই হাজার সেনাকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে গাজা উপত্যকায় চলা সংঘাতের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো। আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ‘সেনা মোতায়েন মানে সংকটের জেরে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত সময়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।’ যদিও এর আগে, হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছিল, যুদ্ধের জন্য মার্কিন বাহিনীকে স্থলে মোতায়েন করা হবে না।

মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘মোতায়েনের জন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ মানে সংঘাত থেকে দূরে থাকার একটি সংকেত।’ মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনকে জন কিবরি বলেন, ‘আমরা চাই না এই সংঘাত বিস্তৃত্ব আকারে ছড়িয়ে যাক। ইসরায়েলে চলা যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের অংশগ্রহণে আমাদের ইচ্ছে নেই।’

এদিকে, আগামীকাল বুধবার ইসরায়েলে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পুরোনো ঘনিষ্ঠ মিত্র তেল আবিবের পক্ষে সমর্থন জোরদারেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর। এই সফরের একদিন আগেই দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে এই খবর এলো।

জন কিবরির তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যে চলা সংঘাতে ইরান যুক্ত হবে এমন তথ্য হোয়াইট হাউসের কাছে নেই।

গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে বৃহৎ আকারে হামলা চালায় হামাস। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির হামলার জেরে যুদ্ধের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। হামাসের হামলার জেরে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি বাহিনীর একের পর এক হামলাকে সমর্থন দিচ্ছে তারা। ইসরায়েলের সহযোগিতা দুটি রণতরিও অঞ্চলটিতে মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, সেনা মোতায়েন করা হলেও হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে অংশ নেবে না মার্কিন বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীকে চিকিৎসা সহায়তা দেবে তারা। এ ছাড়া বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণের মতো সহায়ক কাজগুলো করবে তারা।