মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের পূর্বে আওকার এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ। ছবি : এএফপি

মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও তার পক্ষের শক্তিগুলোর সাম্প্রতিক বাড়ন্ত তৎপরতার জবাব দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এই তৎপরতার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, এই অঞ্চলে থাকা সৈন্যদের সঙ্গে আরও কত সংখ্যক যোগ হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাননি। খবর এএফপির।

লয়েড অস্টিন জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেই পেন্টাগন এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন,  ‘এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সংহত করবে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করবে।’

ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস হামলা চালিয়ে প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি এবং এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করে। এরপর ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অব্যাহত সমর্থনের অংশ হিসেবেই নতুন করে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ওই হামলার পর থেকেই ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংসের প্রত্যয় জানিয়ে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে চার হাজারেরও বেশি সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, তিনি গোটা মধ্যপ্রাচ্যে টার্মিনাল হাই অলটিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যাটারি এবং এর পাশাপাশি প্যাট্রিয়ট ব্যাটালিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। 

অস্টিন বলেন, ‘আমি প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা অর্জনের জন্য বিচক্ষণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি।’

এদিকে, ইসরায়েলের উত্তরে লেবানন সীমান্তে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপ হিজবুল্লাহর সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক গুলি বিনিময়ের কারণে উত্তেজনা বাড়ছে। গাজার পাশাপাশি এখানে আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হয় কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ইসরায়েল।

এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা বেশকিছু সশস্ত্র সংগঠন ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর চারজন এবং ইসলামি জিহাদের একজন যোদ্ধা মারা গেছেন।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ইরাকের দুটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে। গত বুধবার থেকে (১৮ অক্টোবর) মার্কিন নেতৃত্বাধীন তিনটি ইরাকি ঘাঁটিতে অন্তত পাঁচটি হামলা চালানো হয়েছে।