আইএমএফের ঋণ পেতে ফের কর বাড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
শ্রীলঙ্কার প্রতীকী ছবিটি এএফপি থেকে নেওয়া

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও বিভিন্ন পরিষেবার ওপর ফের কর বাড়াচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা। আজ মঙ্গলাবর (৩১ অক্টোবর) দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকে এই ঘোষণা দেওয়া। মূলত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বেলআউট ঋণ পেতেই শ্রীলঙ্কার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, আইএমএফের দেওয়া শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি তারা। আইএমএফের শর্ত পূরণেই করায় সংস্থাটি ঋণের কিস্তি আটকে দেয়। এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও বিভিন্ন পরিষেবার ওপর কর বাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

দ্বীপবেষ্টিত দেশটি গত বছর নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। ওই সময় তাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল চার হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। বছরটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দেশজুড়ে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও ওষুধের দাম আকাশচুম্বি হয়। এর জেরে শুরু হয় নাগরিক অসন্তোষ, যার পরিণতি গিয়ে ঠেকে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের পতনের মাধ্যমে।

এরপরেই শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার আইএমএফের দ্বারস্ত হয়। এর জেরেই সংস্থাটি একটি পরিকল্পনা দেয় তাদের। অর্থনৈতিক খাত মেরামতে কর বাড়িয়েছে দেশটি। পাশাপাশি কমিয়েছে ভর্তুকিও।

শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র বান্দুলা গুণাবর্দনা বলেন, ‘রাজস্ব আয় কমায় ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ আটকে দিয়েছে আইএমএফ। এ জন্য কর বাড়ানো প্রয়োজন। ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে আমাদের রাজস্ব আয় বাড়াতেই হবে। এর বিকল্প কোনো পন্থা নেই।’ 

বান্দুলা গুণাবর্দনা বলেন, ‘রাজস্ব বাড়াতে জানুয়ারি থেকেই মূল্য সংযোজন কর ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হবে।’

এএফপি বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনী খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা, যার মূলে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রাপ্যতা। গত মাসে আইএমএফ জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুই দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ বিতরণের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা।