গাজার আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি ড্রোন

Looks like you've blocked notifications!
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আকাশে মার্কিন ড্রোন। ছবি : এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আকাশে একটি মার্কিন ড্রোন শনাক্ত করা গেছে। মনুষ্যবিহীন ড্রোনটি নজরদারির জন্য উড়ানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। গাজার আকাশসীমায় ড্রোন উড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলছে, হামাসের কাছে থাকা বন্দিদের মুক্ত করতেই ড্রোনটি দিয়ে নজরদারি করা হয়। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে চলা যুদ্ধের মধ্যে প্রথমবারের মতো গাজার আকাশে মার্কিন ড্রোন শনাক্ত করা গেছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ‘ড্রোনটি হামাসের হাতে আটকে থাকা বন্দিদের উদ্ধারে কাজ করছিল। ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকেই গাজার আকাশসীমায় ড্রোন উড়ানো হচ্ছিল।’

এক বিবৃতিতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) পেন্টাগন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র গাজার ওপর নিরস্ত্র ড্রোন ফ্লাইট পরিচালনা করছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে বন্দি উদ্ধারের প্রচেষ্টায় কাজ করার জন্য পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে।

সম্প্রতি গাজা উপত্যকার আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রেপারস ড্রোন দেখতে পান একজন সাংবাদিক। পরে  ফ্লাইট-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটগুলো থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এমকিউ-৯ রেপারস ড্রোন ব্যবহার করে। এর আগে আফগানিস্তানে এই জাতীয় ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘ইসরায়েলের অভিযানে সাহায্য করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে না। বন্দিদের মুক্ত করতেই এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।’

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার আরব সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় স্পিডবোটের সাহায্যে একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন ছোড়ে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনী। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন নৌ বাহিনী জানিয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর ড্রোনটি ছোড়া হয়। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনী ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া বেশ কয়েকটি রকেট ও ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছিল।

গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা। হামলা পাল্টা হামলায় ইসরায়েলকে সমর্থন করে আসছে তাদের পুরোনো ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সমর্থনে ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশে দুটি রণতরী রেখেছে তারা।