কপ-২৮ সম্মেলন

জলবায়ু ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান

Looks like you've blocked notifications!
দুবাইয়ে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন কপ-২৮ এর সভাপতি সুলতান আহমেদ আল জাবের। ছবি : এএফপি

জীবাশ্ম জ্বালানির ভাগ্য নির্ধারণে যে মতভেদ তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে আলোচনাকারীদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের আগেই অভিন্ন লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুবাইয়ে চলতে থাকা জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতি আরব আমিরাতের সুলতান আহমেদ আল জাবের। খবর এএফপির।

যদিও নির্ধারিত সময়ে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা শেষ হওয়া একটি দুর্লভ ঘটনা, কিন্তু কপ-২৮ সম্মেলনের সভাপতি সুলতান আল জাবের আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য স্থির করেছেন। ওই দিন স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আমিরাতের সুলতান কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধিদের আপসের চেতনা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে একটি উচ্চাভিলাষী ও ভারসাম্যপূর্ণ ফলাফল নির্ধারণে অভিন্ন ক্ষেত্র তৈরিতে জোর দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে কপ-২৮ সম্মেলন শুরু হয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধ্বংসলীলা থেকে রক্ষা পেতে একটি তহবিল তৈরির ঘোষণার মাধ্যমে। তবে প্রথম সপ্তাহে প্রতিনিধিরা গত মঙ্গলবার প্রকাশিত খসরা চুক্তির বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি।

এই খসড়া লিপিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে আনার কথা বলা হয়েছে। আর এতে সমর্থন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফ্রিকার বেশকিছু দেশ। তবে চূড়ান্ত লিপিতে বিষয়টি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে চীন, সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলো।

জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের যে ঘটনা ঘটে, তা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে ও উষ্ণায়নের মাত্রাকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখতে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা।

সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহ শেষে প্লেনারি সেশনের সমাপ্তি টানার সময় সুলতান আল জাবের বলেন, ‘বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে জীবাশ্ম জ্বালানি, পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের যে প্রস্তাবনাগুলো রয়েছে, সে বিষয়ে একটি সেতুবন্ধন তৈরির জন্য আমি অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তবে জলবায়ু আন্দোলন কর্মীরা জাবেরের বক্তব্যের বিষয়ে গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, কেননা তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান অ্যাডনকের প্রধান। তবে এসব শঙ্কার মাঝেই জাবের বলেছেন, ক্রমান্বয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা ‘অনিবার্য’।