নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

Looks like you've blocked notifications!
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। ছবি : এএফপি

গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিরতি টানতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবনায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও আরব দেশগুলোর ক্রমাগত যুদ্ধবিরতির ডাক আটকে দিল ওয়াশিংটন। খবর এএফপির।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত রবার্ট উড নিরাপত্তা পরিষদের উত্থাপিত এই প্রস্তাবনাকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এর মাধ্যমে মূল সমস্যা থেকে সরে আসা যাবে না।

রবার্ট উড বলেন, ‘এই প্রস্তাবনায় কোনোরকম শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে...। এর মাধ্যমে ৭ অক্টোবর হামাস যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।’

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আট সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৭ হাজার ৪৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নারী ও পুরুষ। আর এ রকম পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদের এই জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন।

এদিকে, মানবিক যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ভেস্তে যাবার পর প্রস্তাবনার অন্যতম উদ্যোক্তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি বলেন, ‘আরব আমিরাত ভীষণভাবে হতাশ।’ তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো…নিরাপত্তা পরিষদ মানবিক যুদ্ধবিরতি দাবি করতেও অক্ষম।’

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ওয়াশিংটন যেকোনো প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিতে পারে, যদিও এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৩টি দেশ ভোট দেয় এবং যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত থাকে।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘যদি আপনারা এই যুদ্ধকে সমর্থন করেন তবে, তা হবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে সমর্থন করা। আজকের দিনটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জন্য ভয়ানক একটি দিন।’

অন্যদিকে, ইসরায়েল ওয়াশিংটনের ভেটোর প্রশংসা করেছে। জাতিসংঘে দেশটির দূত গিলাড এরদান তাদের পাশে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে, ভোটগ্রহণের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেছিলেন, ‘হামাসের নৃশংসতার কারণে ফিলিস্তিনি জনসাধারণের ওপর নেমে আসা শাস্তি কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না।’