গাজায় রক্তপাতের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র : আব্বাস

Looks like you've blocked notifications!
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিচ্ছে মার্কিন দূত রবার্ট উড। ছবি : এএফপি

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ভেস্তে গেছে। এরপরেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ‘গাজায় শিশুদের রক্তপাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী।’ খবর এএফপির।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আক্রমণাত্মক আখ্যা দেওয়া হয়। ওই বিবৃতি বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ ও নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। গাজায় ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও বয়স্কদের রক্তপাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রই দায়ী।’

এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে, ওয়াশিংটনের ভেটো জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস ও আরব দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত রবার্ট উড নিরাপত্তা পরিষদের উত্থাপিত এই প্রস্তাবনাকে বাস্তবতা বিবর্জিত হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এর মাধ্যমে মূল সমস্যা থেকে সরে আসা যাবে না। রবার্ট উড বলেন, ‘এই প্রস্তাবনায় কোনোরকম শর্ত ছাড়াই যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে...। এর মাধ্যমে ৭ অক্টোবর হামাস যে কর্মকাণ্ড করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।’

ওয়াশিংটনের ভেটোর প্রশংসা করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে দেশটির দূত গিলাড এরদান তাদের পাশে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান। তবে, প্রস্তাবটি উত্থাপন করা আরব আমিরাত এতে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজা, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল ও যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নীতি সেদিকই স্পষ্ট করেছে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আট সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৭ হাজার ৪৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নারী ও পুরুষ।