রাজতন্ত্রের অবমাননার অভিযোগে থাই এমপির জেল

Looks like you've blocked notifications!
থাইল্যান্ডের আইন প্রণেতা রুখচানক শ্রিনর্কের ছবিটি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

র্থাইল্যান্ডের একটি আদালত দেশটির একজন আইন প্রণেতা বা এমপিকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাজতন্ত্রের অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত করে আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এই রায় দেওয়া হয়। খবর এএফপির।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই এমপির নাম রুখচানক শ্রিনর্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দুই পোস্টের জেরেই তাকে সাজা দেওয়া হয়। ওই দুই পোস্টে ওই এমপি  রাজতন্ত্রের অবমাননা ও কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্টস লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ আনা হয়।

ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, গত মে মাসে থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি)। তবে, রক্ষণশীলদের চাপের মুখে দলটি সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনের আগে রাজতন্ত্র অবমাননা আইন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছিল এমএফপি।

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা চেইতআওয়াত তুলাথন বলেন, ‘রুখচানক শ্রিনর্ক ১১২ ধারায় (রাষ্ট্রদ্রোহীতা) তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্টে আরও তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়।’

এক বিবৃতিতে আদালত সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯ বছর বয়সী রুখচানক পাঁচ লাখ বাথ (থাইল্যান্ডের মুদ্রা) বা ১৪ হাজার মার্কিন ডলার জামানত রেখে জামিন দেওয়া হয়েছে।’

রুখচানক মে মাসের নির্বাচনের প্রচারণার সময় ব্যাংককের যানজটপূর্ণ রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

এএফপি বলছে, থাইল্যান্ডে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে যা রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন এবং তার পরিবারকে সমালোচনা থেকে রক্ষা করে। সমালোচকদের দাবি, ভিন্নমতকে দমন করার জন্য এসব আইন তৈরি করা হয়েছে। আর কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্ট নিয়েও সমালোচনা করা হয়। সমালোচকরা বলছেন, এই আইন দিয়ে বাকস্বাধীনতা সীমিত করা হচ্ছে।