লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর প্রাণহানির শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা। এএফপির ফাইল ছবি

উত্তর আফ্রিকায় লিবিয়ার ভুমধ্যসাগর উপকূলে অভিবাসপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে ৬১ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাদের সবাই মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) গতকাল শনিবার এ তথ্য জানিয়েয়েছে। খবর এএফপির।

আইওএম লিবিয়া অফিস জানায়, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের জুওয়ারা এলাকা থেকে ছেড়ে আসা নৌকাটিতে থাকা বেশিরভাগ অভিবাসী সম্ভবত মারা গেছে। সাগরের বুকে প্রচণ্ড ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নৌকাটি ছেড়ে আসার সময় এতে ৮৬ জন যাত্রী ছিল।

ইতালি হয়ে ইউরোপে যাবার আশায় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে সাগর পথের বিপদসঙ্কুল যাত্রায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া এখন অভিবাসপ্রত্যাশীদের কাছে অন্যতম বহির্গমন পথ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সর্বশেষ এই দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বেশকিছু নারী ও শিশু, যারা এসেছিলেন নাইজেরিয়া, গাম্বিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশ থেকে। 

আইওএম কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের মধ্যে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা লোকদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং তারা ভালো আছেন বলে জানিয়েছে আইওএম। আইওএম মুখপাত্র ফ্লাবিও ডি গিয়াকোমো এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, অভিবাসপ্রত্যাশীদের যাতায়াতের এই রুটে এ বছর দুই হাজার ২৫০ জনেরও বেশি লোক মধ্য ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে মারা গেছেন।

গত ১৪ জুন একটি মাছ ধরার নৌকায় করে ৭৫০ জনের একটি দল লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে গ্রিসের দক্ষিণ-পশ্চিমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যায়। সিরিয়া, পাকিস্তান ও মিসরের নাগরিকদের বহনকারী নৌকাটি থেকে ১০৪ জন জীবন বাঁচাতে পারে। আর ৮২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বাকিদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ বছর এক লাখ ৫৩ হাজারেরও বেশি অভিবাসী তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালিতে প্রবেশ করেছে।