গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ইউনিসেফ মুখপাত্রের ক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
ইউনিসেফের লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ফিলিস্তিন ভূখণ্ড পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের মুখপাত্র। পরিদর্শন শেষে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। গাজা উপত্যকাকে শিশুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান বলে আখ্যা দিয়েছেন ইউনিসেফ মুখপাত্র। খবর এএফপির।

দীর্ঘ দুই সপ্তাহ গাজা সফর শেষে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, ‘আমি খুবই ক্ষুব্ধ। কারণ, ক্ষমতার অধিকারীরা লাখ লাখ শিশুকে মানবিক দুঃস্বপ্নের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ তিনি ইসরায়েলি হামলায় অঙ্গহানী শিশুদের বিষয়ে কথা বলেছেন। পাশাপাশি যেসব আহত শিশু হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নিয়েও নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন।

জেমস এল্ডার বলেন, ‘আমি খুব রাগান্বিত, কারণ যখন আমি কথা বলছি ঠিক সে সময়েও ইসরায়েলি হামলায় অঙ্গহানীর শিকার হচ্ছে কিছু শিশু। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের প্রধান হাসপাতালে কথা টেনে তিনি বলেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় দুবার হামলার শিকার হয়েছে নাসের হাসপাতাল। হাসপাতালগুলোতে শুধমাত্র রোগী নয় বিপুল সংখ্যক শিশুও আশ্রয় নিয়েছে। শত শত নারী ও শিশু নিরাপত্তা চাইছে।’ 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সংগঠনটি।

প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ও পশ্চিম তীরে ক্রমাগতভাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনে অন্তত ১৯ হাজার ৬৬৭ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

জেমস এল্ডার বলেন, ‘আসন্ন বড়দিন সম্ভবত বর্বরতা ও ক্রমবর্ধমান আক্রমণ নিয়ে আসতে চলছে। এ নিয়ে আমি ক্ষুদ্ধ। বিশ্ব আজ নিজের ভালোবাসায় বিভ্রান্ত। গাজার শিশুরা শুধু পরিসংখ্যানে পরিণত হচ্ছে।’ গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আরও কিছু করতে না পারার জন্য আমি নিজের ওপর ক্ষুব্ধ।’