ড. ইউনূসের রায়ের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

Looks like you've blocked notifications!

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা। একই রায় দেওয়া হয়েছে এই মামলার অন্য তিন আসামির বিরুদ্ধেও। পরে আপিলের শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। এরইমধ্যে ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, শিগগির আপিল করা হবে। রায়ের পরপরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে সংবাদ। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে নানা তথ্য।

আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথমদিনে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা ৮৪ পৃষ্ঠার রায় পড়া শেষে এ আদেশ দেন। রায় শুনতে আদালতে অনেক বিশিষ্ট নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। পরে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস ছয় মাসের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন। আজ সোমবার শ্রম আইনের একটি মামলার রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও তার সমর্থকরা এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।

এএফপি বলছে, ৮৩ বছর বয়সী ইউনূস মাইক্রোক্রেডিট অর্থনীতির মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করেন। একপর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিযুক্ত করেন।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন আরও বলেছে, শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে ২০০৬ সালে নোবেল বিজয়ীর বিপক্ষে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেন, যাকে এক সময় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হতো।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ ড. ইউনূসের সাজার তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাতে বলেছে, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার এটি ইউনূসের বিরুদ্ধে ১৫০টি মামলার একটি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে শেখ হাসিনা প্রকাশ্য-আক্রমণ করেন। ২০১১ সালে ‘গরিবের রক্ত চুষে নেওয়ার’ অভিযোগ তোলেন তিনি। ২০২২ সালে তিনি অভিযোগ করেন যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের তহবিল আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। যদিও সেতু প্রকল্পের তহবিল আটকানোর এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউনূস।

এদিকে, এএফপির বরাতে প্রতিবেদন করেছে ফ্রান্স২৪। আর একই তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদন করেছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এএফপির বরাতে প্রতিবেদন করেছে ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমসও।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনের বরাতে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোম্পানির শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন না করা এবং লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, চারজনই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।