যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ‘ডারিয়েন গ্যাপ’ পার হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার শিশু

Looks like you've blocked notifications!
কলম্বিয়া ও পানামার বিপজ্জনক জঙ্গল ‘ডারিয়েন গ্যাপ’ পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এএফপির ফাইল ছবি

কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যকার বিপজ্জনক জঙ্গল ‘ডারিয়েন গ্যাপ’। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করা হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য এই এলাকাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে বিপজ্জনক এ জঙ্গল অতিক্রম করেছেন রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এর মধ্যে শিশু রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার। পানামা সরকার গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে পানামার জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের শেষ পর্যন্ত ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। যার মধ্যে অর্থনৈতিক সংকটে থাকা ভেনেজুয়েলার নাগরিক ছিল তিন লাখ ২০ হাজারেরও বেশি। জঙ্গল পাড়ি দেওয়ার তালিকায় এরপরেই রয়েছে ইকুয়েডর ও হাইতি। এ ছাড়া ২৫ হাজারেরও বেশি চীনা নাগরিক গত বছর জঙ্গলটি পাড়ি দিয়েছে। আর ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, ক্যামেরুন ও বরুকিনা ফাসোর রেকর্ড সংখ্যক নাগরিক ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে।

কলম্বিয়া ও পানামার মধ্যে ১৬৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এই ঘন জঙ্গলে রয়েছে হিংস্র বন্যপ্রাণী এবং নদী। এছাড়া রয়েছে অপরাধীরাও, যারা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটক করে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এমনকি, জঙ্গলে পথ চিনিয়ে দেওয়ার জন্যও অর্থ দাবি করে তারা। এত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ আমেরিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষায় এই ভয়ঙ্কর জঙ্গল অতিক্রম করতে পিছপা হন না।

এএফপি বলছে, ২০২২ সালের পর থেকে ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ওই বছরটিতে দুই লাখ ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছিল।

গত সেপ্টেম্বরে পানামা কর্তৃপক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রুখতে ধারাবাহিক পরিকল্পনার কথা জানায়। অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করা লোকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিল তারা।

ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়ে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সে তথ্য জানিয়ে এএফপি বলে, পানামা থেকে কোস্টারিকা ও এরপর হুন্ডুরাস, গুয়েতেমালা  এবং মেক্সিকোতে যায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এরপর মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া চেষ্টা করে তারা।