গাজায় সংঘাতের ১০০তম দিন

বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধের ডাক

Looks like you've blocked notifications!
দক্ষিণ আফ্রিকার মোমবেলায় আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো হয়। ছবি : এএফপি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার ১০০তম দিনে আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।

গাজায় যুদ্ধে ১০০তম দিনে এসেও ইসরায়েলি নৃসংশতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কয়েক যুগ ধরে চলতে থাকা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের অংশ হিসেবে যে যুদ্ধ শুরু হয়, গত ৭ অক্টোবর তা ইতোমধ্যে ধ্বংসযজ্ঞের ও রক্তাক্ততার সব সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে।

গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। পক্ষান্তরে ইসরায়েলি নাগরিক মারা গেছে এক হাজার ৩০০ জন। অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছে ৩৪৭ জন।

গাজার ৪৫ থেকে ৫৬ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ১৫টি চলছে কোনোভাবে। পৌনে ছয় লাখ অধিবাসী ক্ষুধায় জর্জরিত হয়ে না খেয়ে থাকার ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে ১৪২টি মসজিদ ও তিনটি গির্জা। উপত্যকাটির ৬৯ শতাংশ স্কুলই প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সোয়া ছয় লাখ শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া যুদ্ধের ১০০তম দিনে এসে প্রায় ১৮ লাখ ফিলিস্তিনি এখন বাস্তুচ্যুত।

যুদ্ধে গাজায় ২৯ হাজার ইসরায়েলি বোমা ও কামানের গোলা আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে ১৪ হাজার রকেট।

গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ইসরায়েলি সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাহায্য সংস্থাগুলো থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিববে যুদ্ধের ১০০তম দিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দিনব্যাপী বিক্ষোভ। হামাসের হাত থেকে যুদ্ধবন্দিদের ফেরাতে ও নেতানিয়াহু সরকারের বিরোধীতা করে ভোরে দুটি জায়গায় বিক্ষোভ হয়। এতে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন।

অন্যদিকে, গাজার রাফাহ সীমান্তে গতকাল শনিবার সারা রাত ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় দুই বছরের এক মেয়ে শিশুসহ নিহত হয়েছে ১৪ জন।