ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের পাঞ্জগুর শহরে একটি গাড়ি জেলা সদর (ডিএইচকিউ) হাসপাতাল ছেড়ে যায়, যেখানে আজ সকালে ইরানের বিমান হামলার শিকার ব্যক্তিদের স্থানান্তর করা হয়েছিল। ছবি : এএফপি

দুই প্রতিবেশি শক্তিধর মুসলিম দেশ ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে তরতর করে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। বেলুচিস্তানে বিদ্রোহী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে বলে দাবি করছে তেহরান। তবে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাল্টা জবাবের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ। একইসঙ্গে ইরানি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের পাশাপাশি নিজেদের রাষ্ট্রদূতও ফিরিয়ে নিয়েছে দেশটি। খবর এএফপির।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেলুচিস্তান প্রদেশে বিশেষ অভিযান চালায় ইরানি সামরিক বাহিনী। হামলা চালানো হয় দুটি স্থাপনায়। হতাহত হয় শিশুসহ বেশ কয়েকজন। এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান। শুরু হয় দুই প্রতিবেশী শক্তিধর মুসলিম দেশের উত্তেজনা।

ইরানি হামলাকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের ওপর অবৈধ আঘাত হিসেবে আখ্যা দেয় পাকিস্তান। নেওয়া হয় কূটনীতিক বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত। পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দেয় ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ বলেন, পাকিস্তান এই বেআইনি কাজের জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। এর দায়ভার অবশ্যই ইরানের উপর বর্তাবে। রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টি এরইমধ্যে আমরা তেহরানকে জানিয়ে দিয়েছি। একইসঙ্গে আগামী দিনে পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে চলমান কিংবা পরিকল্পনা করা, সব উচ্চ পর্যায়ের সফর স্থগিত করা হয়েছে।

যদিও ইরানের দাবি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা। বিদ্রোহীরা পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত বলে অভিযোগ তেহরানের। তবে পাকিস্তানের পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকির বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান।

বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের ৯০৪ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। গেল কয়েক মাসে পাক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর ইরানি শহরগুলোতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা হয়।