ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

Looks like you've blocked notifications!
ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটি। এএফপির ফাইল ছবি

ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা। হামলায় বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড। খবর এএফপির।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) মার্কিন কমান্ড জানায়, বাগদাদের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই হামলা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া অধিকাংশ সমরাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করা হলেও কয়েকটি ক্ষোপণাস্ত্র ঘাঁটিতে বিস্ফোরিত হয়। হামলায় মাথায় আঘাত পান বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা, আর একজন ইরাকি সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।’

ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধরত মার্কিন ও জোট সেনাদের লক্ষ্য করে গত মধ্য অক্টোবর থেকে বেশ কিছু হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার বেশির ভাগই চালিয়েছে ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা। ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এই সংগঠনটি গাজার সংঘাতে ইসরায়েলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনের বিরোধিতা করে আসছে। সংগঠনটি এক বিবৃতির মাধ্যমে শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর আগে মার্কিন অবস্থানে পরিচালিত হামলাগুলোতে রকেট ও ড্রোন ব্যবহার করা হলেও সম্প্রতি ইরাক ও সিরিয়ায় যে হামলা হচ্ছে, তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, সেটির পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত এখন আশপাশের এলাকাগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে, গতকাল শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে এক হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হওয়ার জন্য তেহরান ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে। এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান।

এ ছাড়া গত সোমবার ইরাকের স্বায়ত্বশাসিত কুর্দিস্তান সীমান্ত এলাকায় এক হামলা চালায় ইরান। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ছিল বলে জানিয়েছে তারা।

অন্যদিকে, এই অঞ্চলে ওয়াশিংটন আগ্রাসী হামলা ঠেকাতে নিজে থেকেও বেশকিছু হামলা চালিয়েছে। পেন্টাগনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন ঘাঁটিতে চালানো হামলায় বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে।

ইরাকে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা এবং সিরিয়ায় আরও ৯ শতাধিক সেনা রয়েছে।