পাকিস্তানকে নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : সেনাপ্রধান

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের একটি সড়ক। ছবি : এএফপি

পাকিস্তানে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে নির্বাচনে ফলাফল। ফলাফল অনুসারে কোনো দলই এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারছে না। জোট সরকার গঠনে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে দলগুলো ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দর কষাকষি। এমন অবস্থায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানকে নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। খবর এএফপির।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক ধারা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর বেশ জোরালো ভূমিকা রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত থেকে আলাদা হয়ে যাবার পর দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসের অর্ধেক সময় জেনারেলরাই মূলত দেশ চালিয়েছেন।

আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জেনারেল আসিম মুনির বলেন, ‘নৈরাজ্য ও মেরুকরণের রাজনীতি পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন সবল হাতের নিরাময়ের ছোঁয়া। ২৫ কোটি প্রগতিশীল মানুষের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত নেতৃত্ব।’

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে পেছন থেকে সমর্থন দেওয়ার কারণে এবার মানুষের মনে এই বিশ্বাস বেশ জোরালো হয়েছে যে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ‍উত্থান-পতন নির্ভর করে সামরিক বাহিনীর সমর্থনের ওপর।

জেনারেল আসিম মুনিরের উদ্ধৃতি দিয়ে সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্বাচন কেবলমাত্র জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং তা জনগণের সমর্থন নির্ধারণের একটি মহড়া।’

জেনারেল আসিম মুনির আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসণ ও সেবা করার জন্য একযোগে কাজ করা উচিত। আর এটাই গণতন্ত্রকে কার্যকর ও উদ্দেশমূলক করার একমাত্র উপায়।’

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে কারারুদ্ধ ইমরান খানের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র সদস্যরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন। তবে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি।