পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনে তৎপর মুসলিম লীগ

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের লাহোর শহরের একটি রাস্তায় নির্বাচনি পোস্টারের দৃশ্য। ছবি : এএফপি

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা থেকে উত্তরণে জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কেন্দ্রে সরকার গঠনে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য শরিকরাও অংশ নেবে বলে জানা গেছে। খবর ডনের।

মুসলিম লীগ ও পিপলস পার্টির সংলাপের বাইরেও পিএমএল-এনের সভাপতি শেহবাজ শরীফ জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন এবং সরকার গঠনে তার সমর্থন চেয়েছেন। মাওলানা ফজলুর রহমানও জানিয়েছেন তিনি আগামী বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নওয়াজের মুসলিম লীগকে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া পাকিস্তানের মোহাজের কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) দলের সঙ্গেও লাহোরে বৈঠক করেছেন মুসলিম লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া পিএমএল-কিউয়ের সঙ্গে ইসলামাবাদে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)।

পাকিস্তানের সর্বশেষ ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র সদস্যরা কমপক্ষে ৯৩টি আসন পেয়ে এগিয়ে আছেন। পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৫টি আসন আর পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি জাতীয় পরিষদের আসন।

গতকাল রোববার লাহোরে পিপিপির আসিফ আলি জারদারি ও বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন পিএমএল-এনের শেহবাজ শরীফ। বৈঠকের পর গঠনমূলক আলোচনার কথা জানায় দল দুটি। তবে সরকার গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা আভাস দেওয়া হয়নি।

এদিকে আলোচনায় থাকা নেতাদের উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, মুসলিম লীগ প্রধানমন্ত্রীর পদটি ধরে রাখতে চাইছে। তার বিনিময়ে পিপিপিকে দেওয়া হবে প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদ স্পিকার ও সিনেট চেয়ারম্যানের পদ। পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আজ সোমবার এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।