এবার নাভালনির মরদেহ লুকানোর অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
রোমানিয়ার বুখারেস্টে রুশ দূতাবাসে ক্রেমলিন সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির প্রতীকী সৌধে ফুল এবং মোমবাতি দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্তরা। ছবি : এএফপি

রাশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনি কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুর পর সমালোচনা ও নিন্দায় পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সমালোচনা করতে বাদ যাননি বিশ্বনেতারাও। নাভালনির স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নাভালনির মৃত্যুর দুদিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ। এমন এক সময়ে নাভালনির মিত্ররা অভিযোগ তুলেছেন, পুতিন মরদেহ ‘লুকানোর’ চেষ্টা চলছে। খবর এএফপি ও বিবিসির।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নাভালনির একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিরা ইয়ারমিশ বলেছেন, আর্কটিক কারাগারে মৃত্যুর একদিন পরেও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেননি মা লিউডমিলা নাভালনায়া। তিনি বলেন, নাভালনির মাকে বলা হয়েছিল যে, ময়নাতদন্ত শেষ হলেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

অ্যালেক্সেই নাভালনিকে রাশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী বিরোধী নেতা এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কট্টর সমালোচক হিসেবে দেখা হতো। রাশিয়ার আদালত তাকে ত্রিশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর কারাগার হিসেবে পরিচিত আর্কটিক পেনাল কলোনিগুলোর একটিতে বন্দি থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সেদিন হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে নাভালনি মারা যান। তবে নাভালনির দলের অভিযোগ, তাদের নেতাকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলোও ৪৭ বছর বয়সী ওই নেতার আকস্মিক মৃত্যুর জন্য রুশ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে। প্রকৃত ঘটনা ‘জরুরিভিত্তিতে স্পষ্ট’ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-৭-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

সাহস প্রদর্শনের জন্য নাভালনিকে জীবন দিয়ে মূল্য দিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। তবে রুশ সরকার অবশ্য পশ্চিমের এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। নাভালনি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পশ্চিমাদের মূল্যায়ন ‘পক্ষপাতমূলক এবং অবাস্তব’ বলেছে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়েও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।