পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশেও সরকারিভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতীয় এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক উদ্দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দেশটির সরকার কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য ওই কর্মকর্তা জানাননি। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মৌরিশাসে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
এর আগে, বাংলাদেশ সরকার রমজান মাসে দেশের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানি করতে ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত।
অপরদিকে রোজার আগেই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, চাহিদার পুরোটাই আমরা নিয়ে আসতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন।’