গাজায় শিশু মৃত্যুতে ‘বিস্ফোরণের’ আশঙ্কা জাতিসংঘের

Looks like you've blocked notifications!
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শিশুরা সোমবার গাজা উপত্যকার রাফাহতে একটি সরকারি স্কুলে খাবার নেওয়ার জন্য জড়ো হয়। ছবি : এএফপি

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গাজায় বিদ্যমান পরিস্থতিতিতে অপুষ্টি নিয়ে এক নতুন প্রতিবেদনে বিপদের ঘণ্টা বাজছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

ইউনিসেফের মানবিক কার্যক্রমের উপনির্বাহী পরিচালক টেড শাবান বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সতর্ক করে আসছি, গাজা উপত্যকা পুষ্টি সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’

টেড শাবান বলেন, গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধযোগ্য শিশু মৃত্যুর একটি বিস্ফোরণ ঘটতে যাচ্ছে, যা গাজায় শিশু মৃত্যুর অসহনীয় মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। সেখানে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় সব ধরনের মানবিক সহায়তার ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অঞ্চলটিতে দুই বছরের কম বয়সী ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা ছয়জনের মধ্যে একটি শিশু ‘তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে’৷

আরও পড়ুন : গাজার রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের সময়সীমা বেঁধে দিল ইসরায়েল

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহতে দুই বছরের কম বয়সী ৫ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

ডব্লিউএইচওর হেলথ ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেন, ‘ক্ষুধা ও রোগ একটি মারাত্মক সংমিশ্রণ। ক্ষুধার্ত, দুর্বল ও গভীর আঘাতপ্রাপ্ত শিশুদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি বিপজ্জনক ও দুঃখজনক এবং আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যা করে এবং ২৩৫ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাসের হাতে এখনও ১৩০ জন জিম্মি রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী। গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।