গাজায় ত্রাণের বহরে হামলার তদন্ত ও যুদ্ধবিরতির দাবি বিশ্ব নেতাদের

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত একজন ফিলিস্তিনির মরদেহের পাশে কাঁদছেন তার স্বজনেরা। ছবি : এএফপি

গাজায় পাঁচ মাস আগে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসানে একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর করতে এবং ত্রাণবাহী গাড়ি বহরের পাশে অপেক্ষমান ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণে হতাহতের ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন বিশ্বনেতারা। খবর এএফপির।

গাজায় ক্রমশ খারাপ হতে থাকা মানবিক পরিস্থিতির ভেতর আরও কিছু করার প্রত্যয় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেখানে আকাশ পথে ত্রাণ সামগ্রী ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গাজায় সাহায্যপণ্যবাহী ট্রাকের একটি কনভয়ের আশপাশে ত্রাণ নিতে আসা মরিয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণে শতাধিক লোক নিহত হয় বলে জানায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর এই ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সংস্থা (ডব্লিউএফপি) হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে–যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তবে গাজায় দুর্ভিক্ষ অত্যাসন্ন।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, ৩৮টি সাহায্যপণ্যবাহী ট্রাককে ঘিরে থাকা লোকজন সাহায্য নিতে গেলে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে। তবে ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘হুমকি মনে করায়’ তারা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ১১৫ জন নিহত হয় এবং আহত হয় আরও ৭৫০ জন ফিলিস্তিনি।

এদিকে জাতিসংঘের একটি দল গাজার আল-শিফা হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানিয়েছে, শুক্রবার তারা সেখানে বেশির ভাগ মানুষকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালটিতে ৭০টি মরদেহ এবং সাত শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় দেখতে পান তারা।

ত্রাণবাহী গাড়ি বহরের ওপর গুলিবর্ষণের কারণে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ২২৮ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।