গর্ভপাতকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স
গর্ভপাতকে নারীদের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে তুলে ধরে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের মৌলিক আইনে নারীদের গর্ভধারণ স্বেচ্ছায় বন্ধ করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের বিষয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল ফ্রান্স। খবর এএফপির।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের এক বিশেষ বৈঠকে তিন-পঞ্চমাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়। ৭৮০ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন আর ৭২ জন ভোট দেন এর বিপক্ষে। প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর দাঁড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ডেপুটিরা।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আইন পাসের এই উদ্যোগকে ‘ফ্রান্সের গৌরব’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি সারা বিশ্বের জন্য একটি বার্তা। আসছে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে তা বিশেষভাবে উদযাপনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ’ শ্লোগানকে তুলে ধরে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয় আইফেল টাওয়ারে।
আইনসভার সামনে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, ‘এটি মূল পদক্ষেপ..এই পদক্ষেপের কথা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এদিকে, ভার্সেইলিতে গর্ভপাতের বিরোধিতাকারীরা সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ফ্রান্সের নাগরিকরা যাতে নতুন করে জীবনের আস্বাদন পেতে পারে সে লক্ষ্যে ক্যাথলিক বিশপরা একদিনের উপবাস ও প্রার্থনার ডাক দিয়েছেন।
রোম থেকে ভ্যাটিকানের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মানুষের জীবন নেওয়ার কোনো অধিকার নেই অন্যের।
তবে গর্ভপাতের পক্ষে থাকা শত শত সমর্থক রাজধানী প্যারিসে বিশাল টেলিভিশন পর্দায় আইন পাসের এই ঘটনার সাক্ষী হিসেবে উল্লাস প্রকাশ করে।