ইসরায়েলকে ইরানের হুমকি, আরও যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইরান এবং দেশটির মদদপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান কমান্ডারকে হত্যার ঘটনায় এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। খবর বিবিসির।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের জন্য বাড়তি প্রস্তুতি রয়েছে। একইসঙ্গে তারা ইসরায়েলকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের লৌহ-কঠিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
হানিয়াকে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ইরানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বুধবার (৩১ আগস্ট) তেহরানে নিহত হন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ইরান এবং গাজায় তাদের সমর্থনপুষ্ট হামাস হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে, ইহুদি রাষ্ট্রটি এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
৬২ বছর বয়সী হানিয়াকে হামাসের প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন।
লেবাননে ইরানের মদদপুষ্ট হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করার কয়েক ঘণ্টা পরই ইসমাইল হানিয়া নিহতের খবর পাওয়া যায়।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এই মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষা বাড়াবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বৃদ্ধি করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে প্রস্তুত, তা নিশ্চিত করবে।
এবার নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় সক্ষম জুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে বলে জানায় পেন্টাগন।
হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইসরাইয়েল সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ বৈরুতে শুকরের হত্যাসহ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শত্রুদের ওপর ‘বিপর্যয়কর আঘাত’ হেনেছে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলিদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনে চ্যালেঞ্জিং দিন আসছে, আমরা সব দিক থেকে হুমকি পেয়েছি। আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেন, গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনার জন্য একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আগামী দিনগুলোতে কায়রো যাবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মাধ্যমে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যাতে এক হজার ২০০ জন নিহত হয়। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানে প্রায় ৪০ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে।