ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টার মামলা খারিজ
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২০২০ সালের নির্বাচন ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টার অভিযোগের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল আদালত। মার্কিন সরকারের বিশেষ প্রসিকিউটর জ্যাক স্মিথ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলেন। এতে উল্লেখ করা হয়, বিচার বিভাগের নীতি অনুযায়ী, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিচার করা যায় না। খবর বিবিসির।
বিচারক তানিয়া চুটকান মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন, তবে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করার পরে মামলাটি পুনরায় দায়ের করা যাবে।
এ ছাড়া স্নিথ ভুলভাবে রাষ্ট্রের গোপন নথি সংরক্ষণের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটিও খারিজের আবেদন করেছেন। তবে, উভয় অভিযোগই অস্বীকার করে ট্রাম্প নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
প্রথম দফার মেয়াদ শেষে ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি, যিনি ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হন এবং পরে দোষী সাব্যস্ত হন। পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।
বছরের শুরুতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফেডারেল মামলাসহ প্রায় ১০০টি ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তারপরে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রায় দেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার বিচার করা যাবে না। ট্রাম্প এর কয়েক মাস পর নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এখন প্রায় সব অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে এবং জর্জিয়ার একটি ফেডারেল মামলা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে বলেছেন, ফেডারেল মামলাগুলো অযথা ও বেআইনি, যা করা উচিত হয়নি।
ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘এগুলো ছিল রাজনৈতিক এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে নিম্নপর্যায়ের ঘটনা। তবুও, আমি সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে প্রত্যয়ী ছিলাম।’
নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ‘মামলাগুলো রাজনৈতিক। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নির্বাচনে হেরে যেতেন, তাহলে হয়তো তিনি তার বাকি জীবন কারাগারে কাটিয়ে দিতেন।’