ট্রাম্পের শপথ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া ক্যাপিটল হিল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ নিয়ে নিরাপত্তা বলয়ে আবৃত থাকবে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিল। যেখানে ৪৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে সাত ফুট উঁচু বেড়া।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এই বেড়া টপকে যাওয়ার সুযোগ নেই। চেকপোস্ট বা অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার জন্য থাকবেন ২৫ হাজার সুরক্ষাকর্মী। এছাড়া প্রায় আট হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি চার হাজার পুলিশ অফিসারকে নিরাপত্তা রক্ষার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।
বিশেষ এই নিরাপত্তা নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য। কেননা, এর আগে দুবার ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই ট্রাম্পের শপথ ঘিরে নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র কোনো ঝুঁকি নিতে চান না দায়িত্বে থাকা কর্তারা।
এ নিয়ে সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ ম্যাট ম্যাককুল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে বাস করছি।’
কী বলছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে সম্ভাব্য কোনো আক্রমণের আগাম খবর এখন পর্যন্ত নেই। কিন্তু তবুও তারা চিন্তিত।
ক্যাপিটলের পুলিশ প্রধান থমাস মাঙ্গের বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আক্রমণকারীর জন্য চরম সতর্কতা বহাল থাকবে।’
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হিল ও তার আশপাশের এলাকায় কোনো সাধারণ যানবাহন চলবে না। এন্ট্রি পয়েন্টগুলো পুরোপুরি ব্লক করে দেওয়া হবে।
ওয়াশিংটনে ৩৪ হাজার ৫০০ হোটেল রুম আছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যেই বুক হয়ে গেছে। ট্রাম্প যখন প্রথমবার শপথ নেন, তখন হোটেলের ৯৫ শতাংশ ঘর ভর্তি ছিল। ফলে এবারও প্রচুর মানুষ আসবেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
ক্যাপিটলে শপথ
আগামী সোমবার ক্যাপিটলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে থাকবেন কংগ্রেস সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা ও বিদেশি অতিথিরা।
এই ক্যাপিটলেই ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা তাণ্ডব করেছিলেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন, প্রচুর ভাঙচুর করেছিলেন ও কংগ্রেস সদস্যদের তাড়া করেছিলেন।