ভারতের কুম্ভমেলায় দুর্ঘটনা এড়াতে এআই ব্যবহার
বিশ্বের অন্যতম বড় জমায়েত ভারতের কুম্ভমেলার আয়োজকরা যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতে মেলাস্থলে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করছে। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপি জানায়, কুম্ভমেলার আয়োজকরা মনে করছেন, ৪০ কোটির বেশি মানুষ গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর মোহনায় অনুষ্ঠিত এই কুম্ভমেলাতে অংশ নেবে। হাজার বছরের পুরোনো এই মেলা এক সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছে ও পরবর্তী ছয় সপ্তাহ ধরে চলবে।
এবারের কুম্ভমেলায় গত রোববার বিকেলে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মেলা চত্বরে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। আগুন ধরে যায় একের পর এক তাঁবুতে। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরতায় ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে মাত্র ২২ মিনিটেই সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কুম্ভমেলাতে ১৯৫৪ সালে একদিনে পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে কিংবা পানিতে ডুবে ৪০০ মানুষ প্রাণ হারায়। ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) পদদলিত হয়ে ৩৬ জন নিহত হয়।
মেলাকেন্দ্রিক টেক অপারেশনের প্রধান সিনিয়র পুলিশ অফিসার অমিত কুমার বলেছেন, আমরা চাই আধ্যাত্মিক ক্রিয়া শেষ করে প্রত্যেকেই হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যাক।
মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনা এড়াতে এবারে তারা যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন সেগুলো তাদের জমায়েতের সঠিক জনসংখ্যা নিরূপণে সহায়তা করবে। সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
প্রয়াগরাজে সিনিয়র পুলিশ অফিসার অমিত কুমার বলছেন, মেলামুখী রাস্তাতে ও মেলাস্থলে তারা ৩০০ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের মাথার ওপর ড্রোন উড়ছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ যেখানে পুলিশ অফিসারদের পাশাপাশি টেকনিশিয়ানরা অবস্থান করছেন। সেখান থেকে সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণ দেখা যাচ্ছে।
অমিত কুমার বলেন, ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত চিত্রগুলো একটি এআই অ্যালগোরিদমে দেওয়া হবে যা কন্ট্রোল রুমের নিয়ন্ত্রকদের সামনে মাইলব্যাপি, প্রতিটা পথের জমায়েতের একটা সার্বিক চিত্র তুলে ধরবে। আমরা মানুষের স্রোতকে চিহ্নিত করতে ও বিভিন্ন অংশে জমায়েতের ঘনত্ব বুঝতে এআই ব্যবহার করছি। মেলাতে যখন কোনো জটলা হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে তখন এই সিস্টেমে সতর্কতামূলক শব্দ তৈরি হবে।