ইউক্রেনের হামলায় দখলকৃত রাশিয়ান গ্রামে নিহত ২২
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/31/russia.jpg)
ইউক্রেনীয় সেনারা দখলকৃত একটি রাশিয়ান গ্রামে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে আটজন নারী রয়েছেন, যাদের হত্যা করার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) মস্কো এ অভিযোগ করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনী গত আগস্টে আকস্মিক হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম দখলে নেয়। বর্তমানে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে প্রায় দুই হাজার বেসামরিক নাগরিক বসবাস করছেন। তবে সম্প্রতি রাশিয়া বেশ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।
রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানায়, ১৯ জানুয়ারি তারা রুস্কয়ে পোরেচনোয়ে নামে একটি গ্রামে “কমপক্ষে সাত বেসামরিক নাগরিক হত্যার” তদন্ত শুরু করেছিল। তবে শুক্রবার তারা জানায়, এই গ্রামে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ২২ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি আরও জানায়, নিহতদের মধ্যে আটজন নারী রয়েছেন, যাদের হত্যা করার আগে ধর্ষণ করা হয়। নিহতদের মরদেহ কয়েকটি বাড়ির বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বার্তা সংস্থা এএফপি স্বাধীনভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও এই অভিযোগের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
রাশিয়ার তদন্তকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাঁচজন ইউক্রেনীয় সেনাকে দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন, ইভজেনি ফাব্রিসেনকো, কুরস্ক অঞ্চলের লড়াইয়ে ধরা পড়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/01/31/russia-inner.jpg)
তদন্ত কমিটি তার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গেছে, ফাব্রিসেনকো স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন।
আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, “প্রথমে লোকজনকে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হয়, তারপর গুলি বা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।”
রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বহুবার বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এর আগে, রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে কিয়েভের কাছে বুচা শহরে শত শত বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিহতদের মধ্যে অনেকের হাত বাঁধা ছিল এবং গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে ও দাবি করে, ইউক্রেন এসব ভিডিও সাজিয়ে তৈরি করেছে। তবে বিভিন্ন স্বাধীন গণমাধ্যম ও ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলেছে।