কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে করারোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবৈধ অভিবাসী ও মাদকের মতো ‘বড় হুমকি’ মোকাবিলা করতে জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহারের অংশ হিসেবে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। খবর এএফপির।
গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত এই সিদ্ধান্ত অনুসারে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে রপ্তানি করা পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের মুখে পড়বে। যদিও কানাডা থেকে আসা জ্বালানি পণ্যে ১০ শতাংশ লেভি পাওয়া যাবে। চীন থেকে আসা পণ্যগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের মুখে পড়লেও সেগুলোতে আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। শুল্কের এই নতুন হার আগামী মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
অতিরিক্ত শুল্কারোপের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করেছেন। এ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস বলছে, অবৈধ ভিনগ্রহবাসী ও মাদকের কারণে সৃষ্টি হওয়া অভূতপূর্ব হুমকি মোকাবিলা করাকে জন্য এখন জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস আরও জানায়, এই শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন এবং বিষাক্ত ফ্যান্টালিন ও অন্যান্য মাদকের প্রবাহ বন্ধ করতে ওই দেশগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে তাদেরকে আরও দায়িত্বশীল করে তোলা।
ওয়াশিংটন মেক্সিকো সরকারকে মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে ‘অসহনীয় সংশ্লিষ্টতার’ বিষয়েও অভিযুক্ত করে আসছে। শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা জ্বালানি থেকে শুরু করে যানবাহন এমনকি খাদ্য প্রক্রিয়া শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কর আরোপের বিষয়ে তার বিশেষ প্রীতির কথা আগে থেকেই বলে আসছিলেন। আর গতকাল শনিবারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাণিজ্যিক সংঘাতের বিষয়টি আরও জোরালো হলো। এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে আসা পণ্যেও শুল্ক আরোপের প্রতিজ্ঞা করেছেন। তিনি সেমিকন্ডাকটর, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের পাশাপাশি তেল ও গ্যাসের ওপর শুল্কারোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সম্পর্কে হোয়াইট হাউস বলেছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কর আরোপ প্রমাণিত উপায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এ সম্পর্কে ফ্লোরিডায় অবস্থানরত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘আমেরিকানদের রক্ষা করতে হবে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব।’