কলম্বিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ‘সম্প্রসারণ’ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

জাতিসংঘ জানিয়েছে, কলম্বিয়ায় সশস্ত্র অপরাধ গোষ্ঠীগুলো শক্তিশালী হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলমান থাকা সত্ত্বেও তারা হাজার হাজার শিশু অপহরণ, কর্মীদের হত্যা ও বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত করছে। খবর এএফপির।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বামপন্থি গেরিলা, ডানপন্থি আধা-সামরিক গোষ্ঠী এবং মাদক চক্রের মধ্যে সংঘর্ষে ২৫২ জন নিহত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ৮৯ জন অধিকার রক্ষাকারী ও ২১৬ জন শিশু নিহত হয়েছে। যেসব শিশু নিহত হয়েছে তারা প্রধানত আদিবাসী। অপহরণকারীদের পক্ষে লড়াই করার জন্য তাদের জোরপূর্বক নিয়োগ দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ বলেছে, ‘কলম্বিয়ায় রাষ্ট্র-বহির্ভূত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপরাধী সংগঠনগুলোর সংঘঠিত সহিংসতা জনগণের জীবন ধ্বংস করে চলেছে এবং সারা দেশে সম্প্রদায়ের সামাজিক কাঠামোকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর শুরু করা শান্তি অভিযানের অধীনে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে রাজ্যের সামরিক আক্রমণ শিথিল করা হয়েছে, যার ফলে কলম্বিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে গত মাসে উত্তর-পূর্ব ক্যাটাটুম্বো অঞ্চলে সংঘটিত সংঘর্ষের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে কয়েক ডজন মানুষ নিহত এবং ৫০ সহস্রাধিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বোগোটায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি জুয়ান কার্লোস মঙ্গে বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর প্রভাব কমানোর জন্য যথেষ্ট কিছু করা হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গণহত্যার সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমেছে, অধিকার রক্ষাকারীদের হত্যার ঘটনা ১৫ শতাংশ কমেছে এবং বাস্তুচ্যুতি প্রায় এক পঞ্চমাংশ কমেছে।