চীনের পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক, জানাল হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে চীনের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্কের হার ১২৫ শতাংশ নয়, বরং তা ১৪৫ শতাংশ। পূর্বে চীনের অধিকাংশ পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছিল এবং এর ওপর অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বর্তমানে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনিক নির্দেশিকা নিয়ে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যান্য সব দেশের জন্য বর্ধিত শুল্ক স্থগিত রাখলেও চীনের ওপর তা বহাল রেখেছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে। এরপর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রথমে চীনের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সংশোধিত করে ১৪৫ শতাংশ করা হলো।
ইইউর সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্প
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, মার্কিন শুল্কের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারা যে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিতের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের পথ খোলা রাখছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ‘আমরা আলোচনার সুযোগ দিতে চাই। যদি আলোচনায় কোনো ফল না আসে, তাহলে আমাদের পাল্টা ব্যবস্থার সিদ্ধান্তও প্রস্তুত আছে।’
এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘ইইউ খুবই বুদ্ধিমান। তারা প্রত্যাঘাত করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু আমরা চীনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছি, তা শোনার পর তারা বলছে যে তারা কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।’
মার্কিন শেয়ার বাজারে প্রভাব
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ব্যতীত অন্যান্য দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার পর প্রাথমিকভাবে শেয়ার বাজার চাঙা হয়েছিল। তবে দিনের শেষে মার্কিন শেয়ার বাজারে পতন দেখা যায়। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ও বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক প্রথমে সাড়ে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সাড়ে তিন শতাংশ হ্রাস পায়। এ ছাড়া অশোধিত তেলের দাম কমেছে এবং ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম দুই শতাংশ কমেছে।