ঢাকায় সপ্তাহব্যাপী চায়না চিত্র ও ফটো প্রদর্শনী শুরু
চাইনিজ রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী চিত্র ও ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
ঢাকার চীনের দূতাবাস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (অ্যাবকা) যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ-চীনের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবি) চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর নিসার হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই ও অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. সাহাবুল হক।
বিআরআই প্রকল্পের মধ্যেদিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের মাঝে ব্যক্তিগত যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, ‘বিআরআই প্রকল্প বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে সহায়ক হচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বিআরআই প্রকল্পের ওপর আয়োজিত এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ আরও ভালোভাবে জানতে পারবে চীন এদেশে কীভাবে কাজ করছে এবং বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং চীন সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পাশে থাকবে।
মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বিআরআই প্রকল্পকে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে পিপল টু পিপল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পিলার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, প্রদর্শনীতে যেসব চিত্র ও ফটো রাখা হয়েছে তার অনেকগুলো বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ করে।
প্রফেসর নিসার হোসেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য চীন ভ্রমণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্বের প্রথম সারির অনেক বিশ্ববিদ্যালয় চীনে অবস্থিত।
অধ্যাপক হুই বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে এবং দুই দেশ যৌথভাবে যে অনেক কাজ করছে, তা মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এখানে মোট ১০২টি চিত্র ও ফটো প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০১৬ সালে বিআরআই প্রকল্পে যুক্ত হয়।