বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শুক্রবার মাহফুজামঙ্গল উৎসব
৩৬ বছর পূর্তিতে কবি মজিদ মাহমুদ রচিত ‘মাহফুজামঙ্গল’ কাব্যগ্রন্থ নিয়ে সমধারা আয়োজন করছে ‘মাহফুজামঙ্গল উৎসব-২০২৪’। আগামীকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের প্রধান মিলনায়তনে উৎসব হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক মজিদ মাহমুদকে নিয়ে এটি সমধারার দ্বিতীয় প্রয়াস। ২০১৭ সালে ‘মজিদমঙ্গল’শিরোনামে একটি আলেখ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমধারা। ২০২৪ সালে তিনি কবিতায় সমধারা সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
উৎসব সূচিতে থাকছে- ‘মাহফুজামঙ্গল’৩৬ বছরের পাঠ প্রবন্ধ নিয়ে ‘মজিদ মাহমুদের বোধ ও মাহফুজামঙ্গল উদযাপন’ শিরোনামে সমধারার বিশেষ সংখ্যার পাঠ উন্মোচন ও মুক্ত আলোচনা। এছাড়া ‘মাহফুজামঙ্গল’থেকে নির্বাচিত কবিতা নিয়ে আবৃত্তি প্রযোজনা ‘মাহফুজামঙ্গলনামা’উপস্থাপন। প্রযোজনায় কবি মজিদ মাহমুদের সাহিত্যজীবন কর্মের পাশাপাশি মাহফুজামঙ্গল কাব্যগ্রন্থ থেকে ২৫টি কবিতা ও রবীন্দ্রসংগীত স্থান পেয়েছে। প্রযোজনায় বিশেষ শিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন কবি মজিদ মাহমুদ। গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন সমধারা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন।
মজিদ মাহমুদ কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। তিনি সমকালীন বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক হিসেবে বিবেচিত। মাহফুজামঙ্গল, বল উপাখ্যান, আপেল কাহিনিসহ বেশকিছু জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা তিনি। ‘মাহফুজামঙ্গল’যেন সম্মোহিত অবস্থায় লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। পৃথিবী সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে এ মহাবিস্তারের সামনে দাঁড়িয়ে কবি এমন সব কথা উচ্চারণ করেছেন- যা এক শাশ্বত প্রেম ও প্রার্থনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন যুগ ধরে কাব্যগ্রন্থটি মনোযোগের কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
মজিদ মাহমুদের রচনা কমনওয়েলথ ফাউন্ডেশন, ইন্ডিয়ান রিভিউ, সিঙ্গাপুর আনবাউন্ডসহ দেশি-বিদেশি স্বনামখ্যাত জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। ইংরেজি ছাড়াও ফরাসি, চায়না ও হিন্দি ভাষায় তার বই অনূদিত হয়েছে।
তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এশিয়ার নোবেলখ্যাত ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জুরি ছিলেন। তার আটটি গ্রন্থ লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের মাধ্যমে বিশ্বের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে। ইতোমধ্যে তার ২৩টি কাব্যগ্রন্থ, ২২টি প্রবন্ধ গ্রন্থসহ ৬০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।