বইমেলায় প্রকাশ পেলো তরুণ সাংবাদিক ও লেখক আতিকা রহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ সংলাপহীন শূন্যতা। সংলাপহীন শূন্যতা বইয়ে বেশিরভাগ কবিতা লেখা হয়েছে প্রেম, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা, একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও প্রকৃতি নিয়ে।

বইয়ের উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো, সংলাপহীন শূন্যতা, বিনিদ্র রাতে, পোড়ামন, কৃষ্ণবিল, জন্ম-মৃত্যু, কুয়াশার জাল, লাল সূর্যমুখী, মাতাল হরিণ, যৌনতার ভাষা, স্বপ্নজাল, ধূসর বসন্ত, বনলতার মনফুল ইত্যাদি। চন্দ্রাবতী একাডেমি থেকে প্রকাশ হয়েছে কাব্যগ্রন্থটি।

অনেক কবিতায় প্রকৃতি ও প্রেমের দারুণ রসায়ন প্রকাশ পেয়েছে। কবি কখনো যেন প্রকৃতির প্রেমে পড়েছে, কখনো বা মানুষের প্রেমে পরে প্রকৃতির নানা উপাদানকে নিয়ে একসুতোয় গাঁথতে চেয়েছেন মনের কথামালা। রচনা করেছেন কবিতা। বেশ কয়েকটি কবিতা যেমন রয়েছে প্রেমের আবার কিছু লেখায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ঘৃণার অভিব্যক্তি। কবিতাগুলোতে আধুনিক সময়ের প্রতিচ্ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সমসাময়িক কব্যিক ধারণা ফুটে উঠেছে।

আতিকা রহমান বলেন, তার বইয়ের কবিতা ভালোবাসা, পাওয়া না পাওয়ার অনুভূতি আছে। অপ্রাপ্তি, নিস্তব্ধতা ও শূন্যতায় প্রশান্তি খুঁজে ফিরেছে মন। কবিতায় যেমন প্রকাশ পেয়েছে প্রেম তেমনি ঘৃণার অভিব্যক্তিও ফুটে উঠেছে। কেননা প্রেম মানুষের জীবনে আসার পাশাপাশি, সম্পর্কে মধ্যে ক্রোধ ক্ষোভ ঘৃণাও প্রকাশ পায়। মানুষ যেমন সুখের অনুভূতিতে কবিতা লিখে। তেমনি কষ্ট বা ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে কবিতার লাইন বেছে নেয়। লেখকদের কাছে অনুভূতি প্রকাশ বা প্রধান অস্ত্র হলো তার কবিতা।

তাই আমার কবিতায় কখনো প্রেমে স্বপ্ন রাজ্যে ডুব দিয়ে কখনো উচাটন মন ইচ্ছে ঘুড়ির মতো উড়েছে। কখনোবা ভালোবাসার কাঁটাতারে বিঁধে অকস্মাৎ শূন্যে ভেসেছে মন। আবার কবিতার লাইনে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। বনলতা প্রেম ছায়াবাজির কারসাজিতে ফিনিক্স পাখির মতো কূল হারিয়েছে। কৃষ্ণগহ্বরে ডুবে গেছে। 

আমার কবিতায় প্রকটভাবে উঠেছে যৌনতার ভাষা। আমি মনে করি এটি চিরায়ত কাল থেকে আছে। যৌনতা আদিমকাল থেকে মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম প্রকাশ। মানুষভেদে রয়েছে ভিন্নতা।

আতিকা রহমানের জন্ম নাটোর জেলায়। অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন। পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কৃতও হয়েছেন। কবিতা লেখার পাশাপাশি গল্প ও সমসাময়িক বিষয় প্রবন্ধ লিখেন।