এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মৃধা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। আজ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জিয়াউল মৃধার ছেলে প্রদীপ মৃধা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এর আগে জিয়াউল হক মৃধা স্বাক্ষরিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আসন্ন উপনির্বাচন পরবর্তী সংসদীয় মেয়াদকাল অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এই সময়ের মধ্যে জনগণকে দেওয়া আশ্বাস ও কাঙ্খিত ওয়াদা পূরণ করা অত্যন্ত দুরূহ। জনগণ ও ভোটারের কাছে উন্নয়নের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া প্রতারণা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ম্যান্ডেট নিয়ে জয়ী হয়ে উন্নয়নের পরিকল্পনা, আশ্বাস এবং অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’ চিঠিতে তাঁর নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জিয়াউল হক মৃধার ছেলে প্রদীপ মৃধা জানান, ‘তাঁর পিতার স্বাক্ষরিত চিঠিতেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ উল্লেখ রয়েছে।’ এদিকে দলীয় চাপে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কী না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরি কথা বলবো।’
উল্লেখ্য, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভাকেট জিয়াউল হক মৃধা এর আগে এ আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি আসন্ন (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে তিনি আপেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (স্বতন্ত্র প্রার্থী), আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (স্বতন্ত্র প্রার্থী) আবু আসিফ আহমেদ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। এতে এ আসনটি শূন্য হওয়ায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।