দু’দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে জামায়াতের সেক্রেটারি
রাজধানীর ভাটারা থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সাত নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
জিআরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ সাত আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপরে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর করা অন্য আসামিরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নায়েবে আমির মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসেন, ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও বাবুর্চি মো. ইমাম হোসেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের নয়জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সেই রিমান্ড শেষ হলে গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের আবার আদালতে আনা হয়। এবং পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাদের আবার আজ আদালতে হাজির করা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ আসন থেকে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গ্রেপ্তার নয়জনের মধ্যে হামিদুর রহমান আযাদও ছিলেন; যিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জামায়াতের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি প্রথম দফা রিমান্ড শেষে কারগারে রয়েছেন।