প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চলছে চা বাগান মালিকদের
চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশের বৃহৎ ১৩ চা বাগান মালিক উপস্থিত রয়েছেন। আজ শনিবার বিকেল ৪টার পর গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকরা। গত কয়েক দিন ধরে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিক নেতারা কথা বলে, আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ ছাড়া, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানা আশ্বাস দিলেও কাজে ফেরেনি তারা। চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের মাঝে চা বাগান মালিকেরা ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার প্রস্তাব করলেও তারা কাজে ফেরেনি। ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি করেন তারা।
ওই চা-শ্রমিকরা ধর্মঘট পালনের পাশাপাশি বুধবার মৌলভীবাজারে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও চা-বাগানের চা কারখানার সামনের মহাসড়কে তারা অবস্থান নেন। জেলার বড়লেখায় শ্রমিকরা দুপুরে দুটি স্থানে আঞ্চলিক মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। সিলেট ও হবিগঞ্জে দাবি আদায়ে চা শ্রমিকরা কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এদিকে ওয়ার্কার্স পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বলা হয়, চা বাগান মালিকেরা বাসস্থান, আলো, পানি, চিকিৎসা সুবিধা, অবসর ভাতা বা ভবিষ্য তহবিল, বাসাবাড়িতে উৎপাদিত ফলমূল, গৃহায়ণের সুবিধাকে দৈনিক মজুরির সঙ্গে যুক্ত করে যে যুক্তি দেখাচ্ছেন, তা শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লংঘন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে চা শ্রমিকদের যে মজুরি, বিদ্যমান উচ্চমূল্যের বাজারে কখনই তা জীবন-যাপনের উপযোগী মজুরি হতে পারে না।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী জানান, চা-শ্রমিক তাদের যৌক্তিক দাবিতে একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগ্রামী চা-শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর। শ্রমিকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে তাদের মজুরি এবং রেশন বন্ধ হয়ে আছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে মানবিক বিবেচনায় কিস্তি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকা এবং কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭টি চা-বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।