বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল অনুপ্রেরণা, উৎসাহ আর উদ্দীপনার উৎস।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে আজ সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে সবসময় সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করেছেন বলেই বঙ্গবন্ধু নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে কখনো বিচলিত হননি। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলনে ছায়ার মতো পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা। যার কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো পৃথিবীতে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে। যার ফলে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এটি সাময়িক সময়ের জন্য। এটি আমাদের মেনে নিতে হবে। এই সমস্যা চিরকাল থাকবে না। উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নানা প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দল যে কেউ করতেই পারেন। এটি তার রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু রাজনীতির নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবেন, এটা সহ্য করা হবে না। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আল-বদর, আল-শামস ও পাকিস্তানের দোসরা বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর শাসনামলে দৃশ্যমান না থাকলেও, ভিতরে ভিতরে তারা ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিল। গোলাম আযম বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্ট্র হয়েছে বলে দেশের বাইরে অপপ্রচার চালিয়েছে। লন্ডনে বসে পূর্ব পাকিস্তান পুনর্গঠন কমিটি গঠন করেছে। এই ইতিহাস সবার জানা।
সেই সকল কুশীলবদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই বরং ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করেছেন শুধু বাঙালির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলার সময় সতর্ক হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকাকালীন তাদের শাসনামলে রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম শোনা যেত না।
করোনা মোকাবিলায় সরকার সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইকোনোমিক গ্রোথ রেইট অনেক ভালো ছিল। বর্তমানে সারা পৃথিবী কৃচ্ছ্রতা সাধন করছে। আমরাও তা অনুসরণ করতে বাধ্য হচ্ছি। শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই। অর্থনীতির বিভিন্ন প্যারামিটার বিশ্লেষণ করলে তা স্পষ্ট হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।