বাস থেকে ফেলে হত্যা : চালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর শ্যামলী শিশু মেলার কাছে অজ্ঞাত এক পথচারীকে বাস থেকে ফেলে হত্যার দায়ে চালক শওকত ওরফে সইক্যা এবং তার সহকারী আক্তার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক জেসমিন আরা বেগমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস কারাভোগ করতে হবে। দুই আসামিই পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল কাদের পাটওয়ারী এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
শওকতের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বাযাইকান্দি গ্রামে, আর আক্তারের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী থানার মসলন্দপুর গ্রামে।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন শ্যামলী শিশু মেলার পাশে আগারগাঁও রোডে রিকশাচালক রায়হানের রিকশায় ধাক্কা দেয় মিনিবাসটি। এতে রিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চালক ও সহকারী রিকশাচালককে ৫০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত অজ্ঞাত ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করে ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তখন চালক শওকতের নির্দেশে আক্তার ওই ব্যক্তিকে শার্টের কলার ধরে জোর করে বাসে টেনে তোলে। চালক বাসটি চালাতে শুরু করেন। পাঁচ থেকে ছয় গজ সামনে যাওয়ার পর চালকের নির্দেশে সহকারী ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। গুরুতর আহত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা যান।
এ ঘটনায় সেদিনই মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আজম সিদ্দিকী মামলা করেন। পরের বছর ১৬ অক্টোবর দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. মহসিন। ২০১৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।