বেরোবিতে কার্গোভ্যানের ধাক্কায় শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
এম এ সালাম বিশ্বাস রংপুর
রংপুর মহানগরীর পার্কের মোড় এলাকায় কার্গোভ্যানের ধাক্কায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেছে। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার এ ঘটনায় কার্গোভ্যানের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রংপুর শহর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী কার্গোভ্যানটি পার্কের মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে রাস্তার একটি ইলেকট্রিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে। এতে খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুতের লাইন ও সিসিটিভি ক্যামেরা রাস্তায় পরে যায়। এ সময় ওই দিক দিয়ে যাতায়াতকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তারিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনসহ পাঁচজন আহত হয়।
এ খবর পেয়ে আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কার্গোটির পিছু নিয়ে ধাওয়া দিয়ে আটক করে পার্কের মোড়ে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ কার্গো ভ্যানটিকে ক্যাম্পাসের ভিতরে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নিয়ে যায় এবং চালক এনামুল এবং হেলপার আল-আমিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আহত শিক্ষার্থীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক নুরুজ্জামান খান বলেন, ‘ওই ঘটনায় আহত বাংলা বিভাগের তারিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবরিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এর মধ্যে একজনের মাথায় একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। তবে তারা শংকামুক্ত।’
এ ঘটনায় তাজহাট থানায় মামলার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘এ ঘটনায় কার্গোটির চালক এবং হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। আমরা মামলা দিচ্ছি। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
তাজহাট খানার ওসি নাজমুল কাদির বলেন, ‘আটক দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আটক থাকা কার্গোভ্যানটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া খুঁটিতে থাকা ডিসের লাইন মেরামতের জন্য লোক লাগানো হয়েছে। খুঁটিতে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
