মুক্তাগাছায় চিকিৎসককে নির্যাতন, যুবলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতনের করা মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন যুবলীগের জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, রানা দে, কামরুজ্জামান ও রাকিবুল ইসলাম শরিফ।
আজ বুধবার দুপুরে এই খবর নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আকন্দ।
গ্রেপ্তারকৃত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনির মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের জামাতা। অপর চারজনও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার নথির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘শারীরিক নির্যাতনের শিকার ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন গতকাল মঙ্গলবার ইমারজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের হটলাইনে ফোন দিয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর বৃদ্ধ মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য বাসায় গিয়ে নমুনা নিতে বলেন। তখন ডা. সালেকিন তাকে জানান বাসায় গিয়ে নমুনা নেওয়া আপাতত বন্ধ। পরে তাঁর মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে নমুনা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এরপর দুপুর ২টার দিকে মাহবুবুল হক মনির তাঁর ৮ থেকে ১০ জন কর্মী নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তার রুমে ঢুকে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং নানা হুমকি দেন। এরপর সবাই মিলে চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। এ সময় হাসপাতালের স্টাফরা তাদের বিরত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার চিকিৎসক ডা. এ এইচ এম সালেকিন বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় মাহবুবুল হক মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।