রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন আসামি রিমান্ডে
রাজধানীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ এই আদেশ দেন। রিমান্ডকৃত আসামিরা হলেন- মনির হোসেন শুভ, বিল্লাল ওরফে আল আমিন ও সুজন ওরফে সবুজ।
এছাড়া ডালিয়া আক্তার দিনা নামের এক নারীর রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চার আসামিকে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক তিন আসামির দুই দিন ও এক আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ভিকটিম (মেয়ে) আর স্ত্রীকে নিয়ে ওই তরুণীর বাবা হাজারীবাগের ঝাউচর এলাকায় বসবাস করেন। গত ৬ মাস পূর্বে তার মেয়ে ও আসামি শুভর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। শুভ তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। প্রায় এক মাস আগে ওই তরুণী ও মাকে রেখে তার বাবা গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী যান। চার দিন আগে ওই তরুণী গ্রামের বাড়ি যায়। তখন শুভ ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে ফোনে জানায় এবং তাকে ঢাকায় আসতে বলে। ভাড়াবাবদ ৬৫০ টাকাও পাঠায়।
আরও জানা যায়, ওই তরুণী শুভর কথায় আশ্বস্ত হয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী থেকে রওনা হয়ে পরদিন ঢাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে শুভ ওই তরুণীকে নিয়ে লালবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় দিনার বাসায় নিয়ে যায়। দিনার সহায়তায় শুভ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভ ওই তরুণীকে বিল্লালের বাসা মুগদায় নিয়ে যায়। সেখানে শুভর উপস্থিতিতে বিল্লাল ও সুজন তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপরে ১৬ ফেব্রুয়ারি বিল্লাল ওই তরুণীকে রিকশায় করে টিএসসি এলাকায় নিয়ে আসে। তাকে একা রেখে চলে যায় বিল্লাল।