রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে এখন একটি পূর্ণ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। যাত্রী সেবার মানসহ ট্রেনগুলোর উন্নয়ন করা হয়েছে। সমগ্র রুটে ডুয়েল গেজ করা হচ্ছে। ৫৮টি স্টেশনের উন্নয়ন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু করা হবে।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে আজ রোববার দুপুরে দেশীয় প্রযুক্তিতে পুনঃমেরামত করা পার্বতীপুর-রংপুর রুটে দুটি ডেমু ট্রেনের উদ্বোধনকালে পার্বতীপুর রেলস্টেশনের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে ২০টি ডেমু ট্রেন রয়েছে। তার মধ্যে পার্বতীপুরের কোলোকায় মেরামত করা দুটিসহ ৬টি চলাচল করছে। বাকি ১৪টি মেরামতের ট্রায়াল অব্যাহত রয়েছে। ডেমু হচ্ছে একটি স্বল্প দূরত্বের ট্রেন। ২০১৩ সালে ৬৩০ কোটি টাকায় চীন থেকে এই ট্রেনগুলো আমদানি করা হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ট্রেনগুলো তারা হস্তান্তর করলেও প্রযুক্তি ও পাসওয়ার্ডগুলো রেখে দেয় তাদের মুখাপেক্ষি করতে। আমাদের বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীগণ অনেক গবেষণার মাধ্যমে ট্রায়াল ট্রিটমেন্ট সম্পন্ন করে অচল ডেমুকে সচল করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের জন্য।

অনুষ্ঠানে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী এলাকার সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, এইতো সেদিন ১৯৭৯ সালে দেখেছি রেলের কি দুর্দশা। যেকোনো কারণে ট্রেন মিস করলে সারা রাত সারা দিন বসে থাকতে হতো। সেই রেললাইনে আজ এসি ট্রেন চলছে, ডেমু ট্রেন চলছে।

পশ্চিম রেলের জিএম অসীম কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, লালমনিরহাট ডিআরএম আব্দুস সালাম, কেলোকার প্রধান নির্বাহী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পুনঃনির্মাণকৃত ডেমুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় বিজ্ঞ প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে। তারই অক্লান্ত গবেষণা ও ট্রায়াল ট্রিটমেন্টে অচল দুটি ডেমুকে পার্বতীপুর কেলোকায় সচল করা হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিদিন ডেমু ট্রেনটি পার্বতীপুর-রংপুর রুটে চলাচলের সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে যাবে এবং বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে রংপুরে পৌছাবে। একই রুটে বিকেল ৬টা ২০ মিনিটে রংপুর ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে পার্বতীপুরে ফিরে আসবে। পরবর্তী কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক হলে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রেল রুটে ডেমু ট্রেন চালানো হবে।