রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুন নাহার
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়েছেন নাজমুন নাহার। নাজমুন নাহার বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের সময় বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে বহনের পাশাপাশি শান্তির বার্তা বহন এবং তরুণদের উৎসাহিত করার জন্য ‘নারীর ক্ষমতায়নে আলোকিত নারী হিসেবে রোটার্যাক্ট দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলনে (২৪ ফেব্রুয়ারি) রোটেশিয়ার পক্ষ থেকে নাজমুন নাহারকে বিশেষ সম্মাননা রোটেশিয়া লেজেন্ডস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তাঁর অসংখ্য অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৫০ জন প্রতিনিধির সামনে নাজমুন নাহারকে এই সম্মাননা তুলে দেন রোটাশিয়ার দক্ষিণ এশিয়ার সভাপতি জিয়া উদ্দিন হায়দার শাকিল, রোটাশিয়া চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক রুপম, পিডিজ খাইরুল আলম, পিডিজি ব্যারিস্টার মুনতাসিম বিল্লাহ ফারুকি, টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মুহাম্মদ মুসলিম এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ডেলিগেটসরা। এই সম্মেলনে নাজমুন নাহার বিদেশি প্রতিনিধিদের সামনে তার বিশ্ব ভ্রমণের অদম্য সংগ্রাম ও সাহসিকতার গল্প তুলে ধরেন। সম্মেলনে প্রদর্শিত হয় নাজমুন নাহারের জীবনের ওপর ভিডিও ডকুমেন্টারি।
বন-জঙ্গল, পর্বতমালা, মহাসমুদ্র, মরুভূমির লাখ লাখ মাইল একাকি পাড়ি দিয়ে আসা তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের এই অভিযাত্রাকে অভিনন্দিত করেন এশিয়া থেকে আসা সকল প্রতিনিধি।
সকল বাধা বিঘ্নকে অতিক্রম করে একজন অগ্রগামী নারী হিসেবে এক অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন নাজমুন নাহার। তাঁর সাহসিকতার গল্প পিছিয়ে পড়া তরুণ-তরুণীদেরকে আশার আলো জাগায়। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে যিনি পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশ একাকি সড়কপথে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বিশ্ব শান্তির বার্তা ও পরিবেশ সচেতনতায় তরুণ ও শিশুদের উৎসাহিত করছেন তাঁর বিশ্ব ভ্রমণ অভিযাত্রার মাধ্যমে।
পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ডসহ দেশ-বিদেশের ৫৫টিরও বেশি সম্মাননা পাওয়া নাজমুন নাহার সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর সদরে। নাজমুন নাহারের লক্ষ্য বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে তিনি বিশ্বের প্রতিটি দেশ ভ্রমণ করবেন।
২০০০ সালে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নাজমুন নাহারের প্রথম বিশ্ব ভ্রমণ অভিযাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১ জুন ১০০তম দেশ ভ্রমণের রেকর্ড সৃষ্টি করেন জিম্বাবুয়েতে। তারপর, ৬ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের পতাকা হাতে বিশ্বের প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে বিশ্বভ্রমণের এক অবিস্মরণীয় মাইলফলক সৃষ্টি করেন আফ্রিকার দেশ সাওটোমে ও প্রিন্সিপ ভ্রমণের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পতাকা হাতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাকে সংবর্ধিত করেছেন।