পিরোজপুরে মামা হত্যার দায়ে ভাগ্নেকে মৃত্যুদণ্ড
পিরোজপুরে মামা হত্যার দায়ে ভাগ্নেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামির নাম নিবাস চন্দ্র শীল (৩৫)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া আদালত আসামি নিবাসকে ২০ হাজার টাকার অর্থ দণ্ডও করেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আসামি নিবাস সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নে তাঁর বাড়ি থেকে নাজিরপুর উপজেলার ষোলশত গ্রামে তাঁর মামা হেমলাল চন্দ্র শীলের (৫৫) বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁর মায়ের জমি বাবদ পাওনা এক লাখ টাকা দাবি করেন। তাঁর মামা টাকা দিতে অস্বীকার করলে নিবাস বিকেলে তাঁর মামা হেমলালকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় তাঁর মামা চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন গিয়ে নিবাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং হেমলালকে নাজিরপুর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নিহত হেমলালের ছেলে শ্যামল কুমার শীল নাজিরপুর থানায় নিবাস চন্দ্র শীলকে আসামি করে হত্যা মামলা করে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত ওই রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিরোজপুরের পিপি খান মো. আলাউদ্দিন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস।